কুবিতে টানা তিন মাস ক্লাস বন্ধ, সেশনজটে শিক্ষার্থীরা

ফয়সাল মিয়া, কুবি।।
দীর্ঘদিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাথে প্রশাসনের দ্বন্দ্বে এবং সরকারি-বেসরকারি ছুটি মিলিয়ে, গত ১৩ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় তিন মাস বন্ধ আছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণির কার্যক্রম।

চলমান সংকট নিরসনের জন্য গত ৩০ এপ্রিল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ দেওয়া হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। কবে খুলবে তার নিশ্চিতয়তা দিচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।

শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি না মানায় প্রথম দফায় ১৩ ও ১৪ মার্চ দুই দিন, দ্বিতীয় দফায় ১৯ থেকে ২৭ মার্চ ৯ দিন, একাডেমিক বন্ধ ২৮ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ২৪ দিন এবং তৃতীয় দফায় শ্রেণির কার্যক্রম ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল বন্ধ ছিল। এরপর প্রশাসনিকভাবে ২রা মার্চ পর্যন্ত মিডটার্ম পরীক্ষা বন্ধ থাকে। ৩০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩ তম সিন্ডিকেট মিটিং এ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। এ হিসেবে আজ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকে একটানা প্রায় তিন মাস। তবে এ বন্ধ চলমান রয়েছে। চলমান সংকট সমাধান হবে কি না তারও কোনো খবর মিলছে না প্রশাসনের কাছ থেকে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক শিক্ষার্থী লিখেন , “বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতিতে জীবন অতিবাহিত করা নিতান্তই কষ্টকর হয়ে গিয়েছে। বহুদূর থেকে পড়তে এসেছি এখানে। পরিবার নিম্নবিত্ত। এরকম পরিস্থিতিতে যদি আমি সুইসাইড করতে বাধ্য হই, এর জন্য দায়ী থাকবে শিক্ষক সমিতির সকল শিক্ষক এবং মাননীয় ভিসি এবং প্রশাসনের সকল শিক্ষক! ”

অর্থনীতি বিভাগের ১৫ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম স্টুডেন্ট’স আইকে জানান “দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারনে শিক্ষাথীরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী সেকেন্ড টাইমার এবং করোনা কালীন প্রায় দেড় বছর নষ্ট হয়ে গিয়েছে। চলমান বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা সেশনজট এর সম্মুখীন হচ্ছে। পাশাপাশি ক্যাম্পাস ও পরিবহন ব্যবস্থা স্বল্পতার কারনে শিক্ষার্থীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং অনেকদিন না যাওয়ার কারণে অনেকের টিউশন চলে গেছে। এমতাবস্থায় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার। ”

ফেইসবুক কমেন্টে এক শিক্ষার্থী লিখেন, ” করোনার গ্যাপ গেছে, অনেকে সেকেন্ড টাইমার আছে আবার অনেকের অনেক সমস্যার কারণে কিছু গ্যাপ গেছে। আপনাদের সমস্যার কারণে কি আমরা সবাই সেশনজটে পড়ে থাকবো? বাসায় গেলেই শোনা লাগে,কবে পড়া শেষ হবে! সবার শুধু একটাই প্রশ্ন। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা একদিন এর প্রতিবাদ করবে। দয়া করে আমাদের শান্তিমতো পড়ালেখা শেষ করতে দেন।”

     আরো দেখুন:

পুরাতন খবর

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  

You cannot copy content of this page